জামালপুরের ইসলামপুরে ডাক্তারদের ৩য় দিনের কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। কোন ঘোষণা ছাড়াই ডাক্তারদের কর্মবিরতি থাকায় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সেবা বন্ধ রাখায় ভোগান্তি পড়েছে রোগী ও স্বজনরা।
এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা রোগীদের দুর্ভোগও চরমে পৌঁছেছে। অনেক রোগী সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, হাসপাতাল এখন প্রায় রোগী শুন্য।
মঙ্গলবার(২৯ ডিসেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জরুরী বিভাগের সেবা ব্যতীত হাসপাতালে ডাক্তার নাই বললেই চলে। বহিঃবিভাগে কোনো ডাক্তার বা রুগী নেই, যা দুই এক জন আছে তাদের ভোগান্তির শেষ নাই। ডাক্তারের অর্ডার নেই বিধায় নার্সরা কোনো সেবা দিতে পারছে না।
সমায়ন মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী রুগী জানান, তিন দিন থেকে ভর্তি হয়ে আছি কিন্তু সেবা পাচ্ছে না। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে পারছিনা। এমন অনেক রুগী যন্ত্রণায় ছটফট করছে দেখার কেউ নেই। হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের টেকনেসিয়ান রফিকুল ইসলাম জানান, বহিঃবিভাগে ডাক্তার না থাকায় কাজ নেই তাই অলস সময় কাটাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শামিমা জানান, তাদের উপর হামলার সঠিক বিচার না হলে কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকবে।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম আবু তাহের জানান, শুক্রবার শহরের ইকবালপুর এলাকার গুরুতর অসুস্থ করমনি (৬৪) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে জামালপুর সদর হাসপাতালে মারা যান।
চিকিৎসার অবহলোয় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এতে দু’জন চিকিৎসকসহ ইন্টার্নি চিকিৎসক গুরুতর আহত হন। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার ইসলামপুর উপজেলায় রোগী দেখা থেকে বিরত থাকেন চিকিৎসকরা। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে সাময়িক সমস্যা হলেও জরুরি বিভাগের সেবা চলমান রয়েছে।